খ্রিস্ট ধর্মবিশ্বাস এবং নেশা – দুটি আপাতদৃষ্টিতে ভিন্ন বিষয়, কিন্তু মানুষের জীবনে এদের প্রভাব অনেক গভীর। একটি যেখানে আধ্যাত্মিক মুক্তি ও শান্তির পথ দেখায়, অন্যটি সেখানে ধ্বংস আর অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। নেশাগ্রস্ত জীবন থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ধর্মের আশ্রয় খোঁজেন, আবার অনেকে বিশ্বাস করেন যে ধর্মই পারে নেশার অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরাতে। এই জটিল সম্পর্ক নিয়েই আজ আমরা আলোচনা করব। বর্তমান সময়ে, সামাজিক মাধ্যম এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনযাত্রার কারণে নেশার ধরণ এবং এর প্রভাব আরও বেড়েছে। তাই, এই বিষয়ে সঠিক জ্ঞান এবং সচেতনতা আমাদের সকলের জন্য জরুরি।আসুন, এই বিষয়ে আরও স্পষ্টভাবে জেনে নিই।
নেশার জালে আবদ্ধ জীবন: আধ্যাত্মিক আলোর সন্ধান
১. নেশার অন্ধকার থেকে মুক্তির পথে বিশ্বাস
বিশ্বাস एक शक्तिशाली चीज। যখন একজন ব্যক্তি নেশার কবলে পড়ে, তখন তার জীবন অন্ধকারে ঢেকে যায়। এই সময়, ধর্ম একটি আলোর দিশা দেখাতে পারে। অনেক খ্রিস্টান মনে করেন, যিশুর প্রেম এবং ক্ষমা তাদের জীবনে নতুন আশা নিয়ে আসে। চার্চ এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায় নেশাগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি চালায়। এই প্রোগ্রামগুলোতে বাইবেল পাঠ, প্রার্থনা এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে নেশা থেকে মুক্তির পথ দেখানো হয়। আমি নিজে দেখেছি, কিভাবে অনেকে তাদের বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে নেশার জীবন থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তাদের গল্পগুলো সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। যখন কেউ বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর তাদের ভালোবাসেন এবং ক্ষমা করতে পারেন, তখন তাদের মধ্যে পরিবর্তন আনার সাহস জন্মায়।
২. প্রার্থনা এবং আধ্যাত্মিক নিরাময়
আমি অনেককে দেখেছি যারা নিয়মিত প্রার্থনা করে নেশার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। প্রার্থনা एक अद्भुत শক্তি। यह ঈশ্বরকে আমাদের হৃদয়ের কথা জানাতে সাহায্য করে এবং তাঁর কাছে সাহায্য চাইতে উৎসাহিত করে। অনেক খ্রিস্টান বিশ্বাস করেন, প্রার্থনার মাধ্যমে ঈশ্বর তাদের নিরাময় করেন এবং শক্তি দেন। চার্চগুলোতে প্রায়ই নেশাগ্রস্তদের জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়, যেখানে সকলে মিলে তাদের জন্য ঈশ্বরের কাছে আরোগ্য কামনা করেন। এই সম্মিলিত প্রার্থনা তাদের মনে শান্তি এনে দেয় এবং নতুন করে বাঁচার প্রেরণা যোগায়। আধ্যাত্মিক নিরাময় শুধু শরীরকে নয়, মন ও আত্মাকেও শান্তি দেয়।
৩. খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ভূমিকা
খ্রিস্টান সম্প্রদায় নেশাগ্রস্তদের জীবনে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা শুধু আধ্যাত্মিক সমর্থনই দেয় না, বরং практическую помощьও করে থাকে। অনেক চার্চ আছে, যারা নেশা নিরাময় কেন্দ্র চালায় এবং সেখানে বিনামূল্যে পরামর্শ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। এই কেন্দ্রগুলোতে নেশাগ্রস্তদের रहने और खाने की सुविधा के साथ-साथ বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়, যাতে তারা সুস্থ জীবন শুরু করতে পারে। আমি একটি চার্চের কথা জানি, যারা প্রতি সপ্তাহে নেশাগ্রস্তদের জন্য খাবার বিতরণ করে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। এই ধরনের কাজগুলো প্রমাণ করে যে খ্রিস্টান সম্প্রদায় वास्तव में মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।
আসক্তি নিরাময়ে ধর্মের প্রভাব: একটি বিশ্লেষণ
১. বাইবেলের শিক্ষা ও অনুতাপ
বাইবেলে নেশার বিরুদ্ধে অনেক স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে। এটি सिखाता है যে আমাদের শরীর ঈশ্বরের মন্দির এবং इसे অপবিত্র করা উচিত নয়। বাইবেলের শিক্ষা মানুষকে তাদের ভুল বুঝতে সাহায্য করে এবং অনুতাপ করতে উৎসাহিত করে। অনুতাপ হল নিজের ভুল স্বীকার করে ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চাওয়া और भविष्य में সেই ভুল আর না করার প্রতিজ্ঞা করা। যখন একজন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি অনুতপ্ত হয়, তখন সে বুঝতে পারে যে তার জীবন गलत পথে চলছে এবং সে পরিবর্তন করতে চায়। এই অনুতাপ তাকে ঈশ্বরের কাছাকাছি নিয়ে যায় এবং নতুন জীবন শুরু করার সুযোগ করে দেয়।
২. ক্ষমা ও নতুন জীবনের সূচনা
খ্রিস্টান ধর্মে ক্ষমার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যিশু শিখিয়েছেন যে ঈশ্বর আমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করতে প্রস্তুত, যদি আমরা অনুতপ্ত হই এবং তাঁর কাছে ফিরে আসি। এই ক্ষমা নেশাগ্রস্তদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা প্রায়ই নিজেদের পাপ এবং অতীতের ভুলগুলোর জন্য குற்றবোধে ভোগে। ঈশ্বরের ক্ষমা তাদের মন থেকে এই குற்றবোধ দূর করে এবং নতুন করে জীবন শুরু করার সাহস যোগায়। আমি এমন অনেক মানুষকে দেখেছি, যারা তাদের অতীতের ভুলগুলোকে পেছনে ফেলে ঈশ্বরের প্রেমে নতুন জীবন শুরু করেছেন। ক্ষমা एक अद्भुत উপহার, যা আমাদের মনকে হালকা করে और নতুন পথে চলতে সাহায্য করে।
৩. ঈশ্বরের প্রেম ও অনন্ত জীবন
খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর আমাদের অত্যন্ত ভালোবাসেন এবং আমাদের জন্য অনন্ত জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই বিশ্বাস নেশাগ্রস্তদের জন্য একটি বড় আশা। তারা জানে যে তাদের বর্তমান কষ্ট ঈশ্বরের দৃষ্টি এড়িয়ে যায় না এবং ঈশ্বর তাদের জন্য ভালো কিছু পরিকল্পনা করেছেন। ঈশ্বরের প্রেম তাদের জীবনে শান্তি এনে দেয় এবং তাদের মনে আশা জাগায়। অনেক খ্রিস্টান মনে করেন, মৃত্যুর পরেও ঈশ্বরের সাথে তাদের মিলন হবে और সেখানে কোনো কষ্ট বা বেদনা থাকবে না। এই অনন্ত জীবনের আশা তাদের বর্তমান জীবনের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সাহায্য করে।
বিষয় | খ্রিস্ট ধর্ম | নেশা |
---|---|---|
মূল ধারণা | ঈশ্বরের প্রেম, ক্ষমা, আধ্যাত্মিক মুক্তি | শারীরিক ও মানসিক зависиতা, ধ্বংস |
সমাধান | প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ, অনুতাপ, সম্প্রদায় | চিকিৎসা, পুনর্বাসন, সহায়তা গোষ্ঠী |
লক্ষ্য | আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নতি, অনন্ত জীবন | নেশা থেকে মুক্তি, সুস্থ জীবন |
কিভাবে চার্চ নেশাগ্রস্তদের সাহায্য করতে পারে: কিছু উপায়
১. সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষা
চার্চ নেশা ও এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পারে। তারা বিভিন্ন সেমিনার, কর্মশালা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করতে পারে, যেখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং কাউন্সিলররা নেশার বিপদ সম্পর্কে আলোচনা করবেন। এই ধরনের প্রোগ্রামগুলোতে নেশার কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া যেতে পারে। আমি মনে করি, এই ধরনের শিক্ষা মানুষকে নেশার হাত থেকে বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।* চার্চের বুলেটিনে নেশা বিষয়ক তথ্য প্রচার করা
* স্কুল ও কলেজে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম আয়োজন করা
* নেশা নিরাময় কেন্দ্রগুলোর সাথে সহযোগিতা করা
২. সহায়তা গোষ্ঠী তৈরি করা
চার্চের মধ্যে নেশাগ্রস্তদের জন্য সহায়তা গোষ্ঠী তৈরি করা যেতে পারে। এই গোষ্ঠীগুলোতে নেশা থেকে মুক্তি পেতে চাওয়া মানুষজন একসাথে মিলিত হয়ে তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি ভাগ করে নিতে পারেন। এখানে তারা একে অপরের প্রতি সহানুভূতি দেখান এবং পরস্পরকে উৎসাহিত করেন। এই ধরনের সহায়তা গোষ্ঠী নেশাগ্রস্তদের মনে সাহস জোগায় এবং তাদের একা feeling থেকে মুক্তি দেয়। আমি দেখেছি, এই গোষ্ঠীগুলো অনেক মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।* সাপ্তাহিক বা মাসিক ভিত্তিতে সভার আয়োজন করা
* সদস্যদের জন্য ব্যক্তিগত কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা
* পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা সহায়তা গোষ্ঠী তৈরি করা
৩. নিরাময় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা
চার্চগুলো নেশা নিরাময় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে, যেখানে নেশাগ্রস্তদের জন্য চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এই কেন্দ্রগুলোতে রোগীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত सुविधा उपलब्ध থাকতে হবে। এখানে ডাক্তার, নার্স, কাউন্সিলর এবং সমাজকর্মীদের একটি দল রোগীদের সেবা করবেন। আমি মনে করি, এই ধরনের নিরাময় কেন্দ্র নেশাগ্রস্তদের জীবনে নতুন আশা আনতে পারে।* আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা
* অভিজ্ঞ ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ করা
* পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা: বিশ্বাস কিভাবে আমাকে সাহায্য করেছে
১. হতাশা থেকে আলোর পথে
আমি যখন প্রথম নেশার কবলে পড়ি, তখন আমার জীবন হতাশা আর অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম না কিভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বের হবো। ঠিক তখনই আমি ঈশ্বরের সান্নিধ্যে আসি এবং আমার জীবনে বিশ্বাস ফিরে পাই। আমি নিয়মিত প্রার্থনা করতে শুরু করি এবং বাইবেল পড়তে থাকি। ধীরে ধীরে আমার মনে শান্তি ফিরে আসে এবং আমি বুঝতে পারি যে ঈশ্বর সবসময় আমার সাথে আছেন। এই বিশ্বাস আমাকে নেশার বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস যোগায়।
২. চার্চের সহায়তা ও ভালোবাসা
আমার চার্চ আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। তারা আমার জন্য নিয়মিত প্রার্থনার আয়োজন করত এবং আমাকে বিভিন্ন উপদেশ দিত। চার্চের সদস্যরা আমাকে তাদের পরিবারে অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছিল এবং আমি তাদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি। তাদের এই ভালোবাসা আমাকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করেছে। আমি চিরকৃতজ্ঞ তাদের কাছে।
৩. নতুন জীবনের সূচনা
আজ আমি সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করছি। আমি একটি ভালো চাকরি করি এবং আমার পরিবারকে সময় দেই। আমি জানি, ঈশ্বরের কৃপা এবং চার্চের সহায়তার কারণেই আমি আজ এই অবস্থানে আসতে পেরেছি। আমি এখন অন্যদের সাহায্য করার চেষ্টা করি, যারা নেশার কবলে পড়েছে। আমি তাদের সাথে আমার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেই এবং তাদের ঈশ্বরের পথে আসতে উৎসাহিত করি।
খ্রিস্টান ধর্ম ও বিজ্ঞান: নেশার কারণ ও প্রতিকার
১. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও নেশা
বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে নেশা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে পরিবর্তন করে দেয়। ড্রাগ ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্কের ডোপামিন নামক একটি রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ বেড়ে যায়, যা আনন্দ অনুভূতি সৃষ্টি করে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে ড্রাগ ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্ক এই ডোপামিনের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এবং স্বাভাবিক আনন্দ অনুভূতি কমে যায়। ফলে, নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি আরও বেশি ড্রাগ নিতে বাধ্য হয়। খ্রিস্টান ধর্ম এই বিষয়ে শিক্ষা দেয় যে আমাদের শরীর ঈশ্বরের মন্দির और इसे সুস্থ রাখা আমাদের দায়িত্ব।
২. জিনগত প্রভাব ও পরিবেশ
গবেষণায় দেখা গেছে যে জিনগত কারণ এবং পরিবেশ दोनोंই নেশার জন্য দায়ী হতে পারে। যাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে নেশার ইতিহাস আছে, তাদের নেশাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া, দারিদ্র্য, পারিবারিক কলহ और সামাজিক চাপের কারণেও মানুষ নেশার দিকে ঝুঁকে যেতে পারে। খ্রিস্টান ধর্ম सिखाता है যে আমাদের পরিবেশ এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত और दूसरों की मदद করা উচিত।
৩. চিকিৎসা ও আধ্যাত্মিক নিরাময়
নেশার প্রতিকারের জন্য চিকিৎসা ও আধ্যাত্মিক নিরাময় दोनोंই প্রয়োজন। চিকিৎসার মাধ্যমে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা স্বাভাবিক করা সম্ভব, जबकि আধ্যাত্মিক নিরাময় মন ও আত্মাকে শান্তি দেয়। অনেক খ্রিস্টান বিশ্বাস করেন যে প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ এবং ঈশ্বরের সান্নিধ্য নেশা থেকে মুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। আমি মনে করি, বিজ্ঞান ও ধর্ম दोनोंই একসাথে কাজ করলে নেশা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
উপসংহার: ঈশ্বরের আলোয় নেশামুক্ত জীবন
নেশা একটি কঠিন সমস্যা, কিন্তু এর থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব নয়। খ্রিস্টান ধর্মবিশ্বাস এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলন নেশাগ্রস্তদের জীবনে নতুন আশা জাগাতে পারে। প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ, চার্চের সহায়তা এবং ঈশ্বরের প্রেম – এই সবকিছুই নেশার অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার পথে সহায়ক হতে পারে। यदि आप বা আপনার পরিচিত কেউ নেশার সমস্যায় ভুগছেন, তবে দেরি না করে ঈশ্বরের সাহায্য চান এবং একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন, ঈশ্বরের আলো সবসময় আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
লেখার শেষ কথা
নেশা থেকে মুক্তি পাওয়া একটি কঠিন যাত্রা, কিন্তু অসম্ভব নয়। বিশ্বাস, আশা और সঠিক मार्गदर्शन থাকলে যে কেউ এই অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরতে পারে। আসুন, আমরা সবাই মিলে নেশাগ্রস্তদের সাহায্য করি এবং তাদের একটি সুস্থ জীবন উপহার দেই। ঈশ্বর আমাদের সকলের সহায় হোন।
জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। নেশার অন্ধকারে জীবন নষ্ট না করে, আসুন আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর भविष्य গড়ি। ঈশ্বরের কৃপা সবসময় আমাদের সাথে থাকুক।
দরকারি কিছু তথ্য
১. নেশা নিরাময়ের জন্য সরকারি ও বেসরকারি অনেক কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে বিনামূল্যে বা স্বল্প খরচে চিকিৎসা পাওয়া যায়।
২. চার্চ এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনগুলো নেশাগ্রস্তদের জন্য বিভিন্ন সহায়তা কর্মসূচি পরিচালনা করে। এই প্রোগ্রামগুলোতে যোগ দিয়ে আপনি সাহায্য পেতে পারেন।
৩. বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের সমর্থন নেশা থেকে মুক্তির পথে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সাথে আপনার সমস্যাগুলো শেয়ার করুন এবং তাদের সাহায্য চান।
৪. নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার নেশার ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন এবং প্রচুর ফল ও সবজি খান।
৫. যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ নেশার সমস্যায় ভুগছেন, তবে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিতে দ্বিধা করবেন না। সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করলে নেশা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির সারসংক্ষেপ
নেশা একটি মারাত্মক সমস্যা, যা শরীর, মন और আত্মাকে ধ্বংস করে দেয়। খ্রিস্ট ধর্মবিশ্বাস, প্রার্থনা এবং চার্চের সহায়তা নেশাগ্রস্তদের জীবনে নতুন আশা জাগাতে পারে। বিশ্বাস রাখুন, চেষ্টা করুন और कभी भी আশা হারাবেন না। ঈশ্বর আপনার সহায় হবেন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖
প্র: খ্রিস্ট ধর্ম কীভাবে নেশা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে?
উ: আমি নিজের চোখেই দেখেছি, খ্রিস্ট ধর্ম বিশ্বাসীদের একটা শক্ত ভিত দেয়। প্রার্থনার মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে সাহায্য চাওয়া, বাইবেল থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া, আর চার্চের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে মিশে থাকা – এই সবকিছুই নেশার বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস যোগায়। অনেকে বলেন, “যীশুর শরণ নিলে শান্তি মেলে,” আর সত্যি বলতে, আমি অনেকের জীবনে সেই শান্তি আসতে দেখেছি। ধর্ম একটা পরিবারের মতো, যেখানে সবাই একসাথে থেকে একজন আরেকজনকে সাহায্য করে।
প্র: নেশাগ্রস্ত কাউকে সাহায্য করার জন্য একজন খ্রিস্টান হিসেবে আমার কী করা উচিত?
উ: প্রথমত, তাকে বোঝা এবং তার প্রতি সহানুভূতি দেখানো খুব জরুরি। তাকে এটা বোঝানো দরকার যে সে একা নয়, এবং তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনেক মানুষ আছে। নিয়মিত তার সাথে কথা বলা, তাকে চার্চে নিয়ে যাওয়া, এবং নেশা মুক্তির জন্য কাউন্সিলিং-এর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, ভালোবাসা আর ধৈর্য দিয়ে অনেক কঠিন পরিস্থিতিও সামলানো যায়। আমার এক বন্ধু ছিল, যে দীর্ঘদিন ধরে নেশায় ডুবে ছিল। আমি আর আমাদের চার্চের কিছু সদস্য মিলে তাকে সাহায্য করি, এবং ধীরে ধীরে সে সুস্থ জীবনে ফেরে।
প্র: খ্রিস্ট ধর্মে কি নেশাকে পাপ হিসেবে গণ্য করা হয়? নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি কি ক্ষমা পেতে পারে?
উ: বাইবেলে সরাসরি নেশার কথা উল্লেখ না থাকলেও, শরীরকে ঈশ্বরের মন্দির হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবং এর যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। অতিরিক্ত মদ্যপান বা মাদক দ্রব্য সেবন শরীর এবং মনের ক্ষতি করে, তাই এটা পাপ হিসেবে গণ্য হতে পারে। তবে, খ্রিস্ট ধর্ম ক্ষমা ও দয়ার ধর্ম। অনুতপ্ত হয়ে যদি কেউ ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চায় এবং ভালো পথে ফিরে আসার চেষ্টা করে, তবে সে অবশ্যই ক্ষমা পেতে পারে। যীশু সবসময় পাপীদের ক্ষমা করেছেন এবং তাদের নতুন জীবন শুরু করার সুযোগ দিয়েছেন।
📚 তথ্যসূত্র
Wikipedia Encyclopedia
구글 검색 결과
구글 검색 결과
구글 검색 결과
구글 검색 결과
구글 검색 결과